ঈদের নতুন শাড়ি কালেকশন ২০২৫
পোস্ট সূচিপত্র: ঈদের ১০টি নতুন শাড়ি
জামদানি শাড়ি
-
হাতের বুনন: প্রতিটি জামদানি শাড়ি তাঁতির হাতে বোনা হয়, যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ।
-
নকশা: ফুল, লতা-পাতা ও জ্যামিতিক নকশার সূক্ষ্ম কাজ করা হয়, যা সাধারণত সাদা, সোনালি, রুপালি বা রঙিন সুতা দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়।
-
হালকা ও আরামদায়ক: উচ্চমানের সুতি বা সিল্ক দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি পরতে আরামদায়ক।
-
দাম ও মান: জামদানি শাড়ির দাম সাধারণত ৮,০০০ থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা নকশা, সূতার মান ও কারিগরির ওপর নির্ভর করে।
বেনারসি শাড়ি
বেনারসি শাড়ি ভারত ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বয়নশিল্পের এক অসাধারণ নিদর্শন। মূলত ভারতের বারানসি (বেনারস) শহরে উৎপত্তি হওয়ায় এর নাম হয়েছে বেনারসি। বাংলাদেশেও বেনারসি শাড়ির জনপ্রিয়তা বিশাল, বিশেষ করে বিয়ের কনে ও উৎসবের পোশাক হিসেবে এটি বহুল ব্যবহৃত হয়।
-
সমৃদ্ধ বুনন ও কারুকাজ: বেনারসি শাড়িতে জরি (সোনালি বা রুপালি সুতা) দিয়ে নকশা করা হয়, যা একে রাজকীয় চেহারা দেয়।
-
ভারি ও মসৃণ কাপড়: সাধারণত কটন ও সিল্কের মিশ্রণে তৈরি হয়, যা পরতে আরামদায়ক হলেও একটু ভারী।
-
নকশার বৈচিত্র্য: ফুল, লতা-পাতা, পেইসলি (কলকা), মন্দিরের নকশা ও মুঘল মোটিফ এতে ফুটিয়ে তোলা হয়।
-
রঙের বাহার: লাল, সোনালি, বেগুনি, সবুজ ও নীল রঙের বেনারসি শাড়ি বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
-
সাধারণ বেনারসি শাড়ির দাম ৬,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা।
-
এক্সক্লুসিভ ও হাতে বোনা কাঁথা ও কড়ি বেনারসির দাম ২০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কাতান সিল্ক শাড়ি
-
উচ্চমানের সিল্ক: খাঁটি সিল্কের সুতা দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি টেকসই ও মসৃণ।
-
শৈল্পিক নকশা: এতে জরি ও সূচিশিল্পের মাধ্যমে নান্দনিক মোটিফ, ফুলের নকশা ও জ্যামিতিক ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা হয়।
-
দীপ্তিময়তা: কাতান সিল্কের শাড়ি এক ধরনের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বহন করে, যা পরিধানকারীকে আকর্ষণীয় ও অভিজাত লুক দেয়।
-
নকশার বৈচিত্র্য: শাড়িগুলোতে সাধারণত রেশমি বুনন, এমব্রয়ডারি, মুগা ও বেনারসি ডিজাইনের ছোঁয়া থাকে।
-
হালকা ও আরামদায়ক: অন্যান্য ভারী শাড়ির তুলনায় কাতান সিল্ক পরতে সহজ এবং আরামদায়ক।
-
সাধারণ কাতান সিল্ক শাড়ির দাম ৮,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা।
-
এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের হাতে বোনা কাতান সিল্ক শাড়ির দাম ৩০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকার বেশি হতে পারে।
-
রাজকীয় ও অভিজাত লুক দেয়।
-
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরার জন্য উপযুক্ত।
-
দীর্ঘদিন ভালো থাকে এবং সংরক্ষণ করা সহজ।
তসর সিল্ক শাড়ি
তসর সিল্ক শাড়ি (Tussar Silk) প্রাকৃতিক সিল্কের অন্যতম অনন্য রূপ, যা মূলত তসর কৃমির তৈরি সুতা থেকে প্রস্তুত করা হয়। এটি ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। তসর সিল্ক তার মাটির মতো রঙ, খসখসে টেক্সচার এবং ন্যাচারাল উজ্জ্বলতার জন্য বিখ্যাত।
-
প্রাকৃতিক টেক্সচার: এটি তুলনামূলকভাবে মোটা ও খসখসে, কিন্তু দেখতে অত্যন্ত নান্দনিক।
-
শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য কাপড়: হালকা ও আরামদায়ক হওয়ায় এটি গরম আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
-
স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা: রাসায়নিক প্রক্রিয়াকরণ ছাড়াই এতে প্রাকৃতিক দীপ্তি থাকে, যা একে অনন্য করে তোলে।
-
ভিন্নধর্মী রঙ ও নকশা: তসর সিল্কের শাড়িগুলো সাধারণত প্রাকৃতিক বাদামি, সোনালি, মেহগনি, অলিভ ও ক্রিম রঙে পাওয়া যায়। এতে হাতের ব্লক প্রিন্ট, কাঁথা স্টিচ ও এমব্রয়ডারি করা হয়।
-
দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই: সঠিক যত্ন নিলে এটি বহু বছর ভালো থাকে।
দাম ও জনপ্রিয়তা:
-
সাধারণ তসর সিল্ক শাড়ির দাম ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা।
-
হাতে বোনা ও কাঁথা স্টিচ করা তসর শাড়ির দাম ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার বেশি হতে পারে।
✔ হালকা ও আরামদায়ক হওয়ায় যেকোনো আবহাওয়ায় পরা যায়।
✔ এটি পরিবেশবান্ধব এবং প্রাকৃতিকভাবে প্রক্রিয়াজাত হয়।
✔ ঐতিহ্যবাহী ও স্টাইলিশ লুকের জন্য এটি বেশ জনপ্রিয়।
মসলিন শাড়ি
মসলিন শাড়ি বাংলার সুপ্রাচীন বয়নশিল্পের এক বিস্ময়কর ঐতিহ্য। এটি বিশ্বের অন্যতম সূক্ষ্ম ও মূল্যবান কাপড় হিসেবে পরিচিত ছিল, যা মূলত বাংলার গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে উৎপন্ন হওয়া বিশেষ ধরণের তুলা দিয়ে তৈরি করা হতো। ঢাকার মসলিন একসময় রাজকীয় পোশাক হিসেবে ব্যবহৃত হতো এবং এর খ্যাতি মোগল আমল থেকে ইউরোপ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
-
অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও হালকা: এতটাই পাতলা যে, একটি সম্পূর্ণ শাড়ি সহজেই একটি আংটির ভেতর দিয়ে প্রবাহিত করা যায়।
-
খাঁটি হাতের বুনন: দক্ষ তাঁতিরা এটি হাতে বুনে থাকেন, যা অসাধারণ ধৈর্য ও কারিগরি দক্ষতা দাবি করে।
-
শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য কাপড়: নরম, আরামদায়ক ও বাতাস চলাচল উপযোগী হওয়ায় এটি গরম আবহাওয়ার জন্য আদর্শ।
-
ঐতিহ্যবাহী নকশা: ফুল, লতাপাতা ও সূক্ষ্ম জ্যামিতিক ডিজাইন এতে ফুটিয়ে তোলা হয়।
-
দুষ্প্রাপ্যতা ও উচ্চমূল্য: প্রাচীন বাংলার মসলিন প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল, তবে বর্তমানে গবেষণা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের মাধ্যমে এটি আবারও তৈরি হচ্ছে।
-
বর্তমানে পুনরুদ্ধারকৃত মসলিন শাড়ির দাম ৫০,০০০ থেকে ১০ লাখ টাকার বেশি হতে পারে।
-
প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী তুলা ব্যবহার করে হাতে বোনা মসলিন উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ, তাই এটি অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য।
✔ এটি বাংলার বয়নশিল্পের গৌরবময় ইতিহাস বহন করে।
✔ এককথায় এটি বিলাসবহুল, রাজকীয় ও অনন্য।
✔ আধুনিক কালের ফ্যাশন ও ঐতিহ্যের সমন্বয়ে এটি নতুন করে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
মসলিন শুধু এক ধরনের শাড়ি নয়, এটি বাংলার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির জীবন্ত নিদর্শন।
লেহেঙ্গা স্টাইল শাড়ি
লেহেঙ্গা স্টাইল শাড়ি হল ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ও লেহেঙ্গার সমন্বয়ে তৈরি একটি আধুনিক ফ্যাশন ট্রেন্ড। এটি সাধারণ শাড়ির তুলনায় সহজে পরিধানযোগ্য এবং বেশ ঝলমলে ও রাজকীয় লুক দেয়, যা বিশেষ করে বিয়ে, রিসেপশন ও পার্টি লুকের জন্য উপযুক্ত।
-
লেহেঙ্গার মতো প্লিটেড ডিজাইন: সাধারণত কোমরের অংশে প্লিট করে লেহেঙ্গার মতো ফ্লেয়ার তৈরি করা হয়, যা একে গর্জিয়াস লুক দেয়।
-
রেডিমেড ও সহজ পরিধানযোগ্য: এই শাড়িগুলো অনেকসময় রেডিমেড পাওয়া যায়, ফলে এটি সাধারণ শাড়ির মতো পরার ঝামেলা নেই।
-
ঝলমলে ও জমকালো কাজ: জরি, পাথর, চুমকি, এমব্রয়ডারি ও ভারী বর্ডারসহ নানা কারুকাজ থাকে।
-
ব্লাউজ ও ওড়নার সমন্বয়: সাধারণত হেভি ডিজাইনের ব্লাউজ ও ওড়না সংযুক্ত থাকে, যা লেহেঙ্গার সঙ্গে মানানসই হয়।
-
বিভিন্ন ধরনের কাপড়: নেট, জর্জেট, সিল্ক, সাটিন ও ভেলভেট কাপড়ে তৈরি হয়ে থাকে।
-
সাধারণ লেহেঙ্গা স্টাইল শাড়ির দাম ৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা।
-
ডিজাইনার ও ব্র্যান্ডেড লেহেঙ্গা শাড়ির দাম ৩০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকার বেশি হতে পারে।
✔ এটি সহজে পরিধান করা যায় এবং ট্রেন্ডি লুক দেয়।
✔ বিয়ের কনে, বধূ ও ব্রাইডসমেডদের জন্য আদর্শ।
✔ শাড়ি ও লেহেঙ্গার সৌন্দর্য একসঙ্গে উপভোগ করা যায়।
লেহেঙ্গা স্টাইল শাড়ি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অনন্য মিশ্রণ, যা যেকোনো জমকালো অনুষ্ঠানে আপনাকে নজরকাড়া করে তুলবে।
জর্জেট শাড়ি
জর্জেট শাড়ি আধুনিক নারীদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম জনপ্রিয়, কারণ এটি হালকা, আরামদায়ক এবং সহজে বহনযোগ্য। অফিস, পার্টি, বিয়ে বা ক্যাজুয়াল লুক—সবক্ষেত্রেই জর্জেট শাড়ি দারুণ মানিয়ে যায়।
-
হালকা ও আরামদায়ক: তুলনামূলকভাবে পাতলা ও সফট ফ্যাব্রিক হওয়ায় এটি গরম আবহাওয়ার জন্য আদর্শ।
-
স্মার্ট ও গ্ল্যামারাস লুক: শরীরের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিশে যায়, ফলে এটি আকর্ষণীয় ও ফিটিং লুক দেয়।
-
ভারি কাজ ও সাধারণ ডিজাইন: এমব্রয়ডারি, জরি, চুমকি, স্টোন ও প্রিন্টেড ডিজাইনে পাওয়া যায়।
-
টেকসই ও ভাঁজ পড়ে না: কাপড় সহজে কুঁচকে যায় না, তাই এটি দিনভর পরলেও পারফেক্ট দেখায়।
-
বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইন: উজ্জ্বল, ন্যাচারাল ও প্যাস্টেল রঙে পাওয়া যায়, যা যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।
-
সাধারণ প্রিন্টেড জর্জেট শাড়ির দাম ১,৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকা।
-
হেভি এমব্রয়ডারি বা ডিজাইনার জর্জেট শাড়ির দাম ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার বেশি হতে পারে।
✔ সহজে পরা ও বহন করা যায়।
✔ যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্য মানানসই।
✔ শরীরে সুন্দরভাবে ফিট হয়ে গ্ল্যামারাস লুক দেয়।
জর্জেট শাড়ি আধুনিক ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য এক দুর্দান্ত পছন্দ, যা আপনাকে স্টাইলিশ ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
শিফন শাড়ি
শিফন শাড়ি একটি অত্যন্ত হালকা, সুতির মতো নরম এবং উজ্জ্বল কাপড় থেকে তৈরি যা সিল্ক, নায়লন বা পলিয়েস্টার উপকরণ দিয়ে তৈরি হতে পারে। এটি মূলত গরম আবহাওয়ার জন্য আদর্শ এবং যেকোনো অনুষ্ঠানে আপনাকে এক শীতল ও আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। শিফন শাড়ি তার স্বচ্ছতা, মসৃণতা এবং ঝলমলে লুকের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়।
-
হালকা ও নরম কাপড়: শিফন কাপড় অত্যন্ত পাতলা এবং শারীরিকভাবে হালকা, যা পরিধানে এক ধরনের নরম অনুভূতি দেয়।
-
স্বচ্ছতা ও দীপ্তি: শিফন শাড়ির কাপড়ে স্বচ্ছতা থাকে, যা এক ধরনের প্রাকৃতিক দীপ্তি দেয়। এটি পরলে এক ঝলমলে, প্রায় গ্ল্যামারাস লুক আসে।
-
মোটা প্লিট তৈরির সুবিধা: শিফন কাপড় সাধারণত সহজে ভাঁজ হয় না, কিন্তু এটি আকর্ষণীয় ও টানটান প্লিট তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
আধুনিক ডিজাইন: শিফন শাড়িতে বিভিন্ন ডিজাইনার এমব্রয়ডারি, লেস ও প্রিন্টেড ডিজাইন পাওয়া যায়।
-
আরামদায়ক ও শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য: শিফন কাপড় খুবই আরামদায়ক এবং শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য, তাই এটি গরমে পরিধান করা খুবই উপযুক্ত।
-
সাধারণ শিফন শাড়ির দাম ২,০০০ থেকে ৭,০০০ টাকা।
-
ডিজাইনার শিফন শাড়ির দাম ১০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে।
✔ এটি শরীরে সুন্দরভাবে ফিট হয়ে থাকে এবং অত্যন্ত পরিধানে আরামদায়ক।
✔ এটি যেকোনো অনুষ্ঠানে পরিধানযোগ্য, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে।
✔ শিফন শাড়ি ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইন ও রঙে পাওয়া যায়, যা বিয়ে, পার্টি বা যেকোনো জমকালো অনুষ্ঠানে পরা যায়।
শিফন শাড়ি তার নরম, হালকা ও ঝলমলে লুকের কারণে আধুনিক নারীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এটি এক ধরনের চিরকালীন ফ্যাশন।
কটন জামদানি শাড়ি
কটন জামদানি শাড়ি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ির একটি বিশেষ ধরনের সংস্করণ, যা তুলা (কটন) কাপড়ে তৈরি হয়। এটি জামদানি শাড়ির সূক্ষ্ম নকশা ও কারুকাজ বজায় রেখেই আরও আরামদায়ক এবং পরিধানে উপযুক্ত। গরম আবহাওয়ার জন্য আদর্শ, এই শাড়িটি আধুনিক ফ্যাশনে আরেকটি চমৎকার সংযোজন।
-
আরামদায়ক কাপড়: কটন জামদানি শাড়ি তুলার কাপড় থেকে তৈরি হওয়ায় এটি হালকা, আরামদায়ক এবং শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য।
-
শূন্যে উড়ে চলা নকশা: জামদানি শাড়ির ঐতিহ্যবাহী সূক্ষ্ম ডিজাইন যেমন ফুল, পাখি, লতা-পাতা এবং অন্যান্য জ্যামিতিক নকশা এতে খুবই সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে।
-
প্রাকৃতিক এবং পরিবেশবান্ধব: কটন কাপড়ের জন্য এটি পরিবেশবান্ধব এবং গরমে আরামদায়ক।
-
নানা রঙের বৈচিত্র্য: কটন জামদানি শাড়ির বিভিন্ন রঙের শেডস এবং নকশায় সজ্জিত হয়, যা খুবই আধুনিক এবং স্নিগ্ধ।
-
যথেষ্ট টেকসই: তুলা কাপড়ের জন্য এটি টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে, যদি সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হয়।
-
সাধারণ কটন জামদানি শাড়ির দাম ৩,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
-
হ্যান্ডলুম কটন জামদানি বা ডিজাইনার কটন জামদানি শাড়ির দাম ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকার বেশি হতে পারে।
✔ এটি গরম আবহাওয়ায় পরিধান করার জন্য খুবই আরামদায়ক এবং শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য।
✔ জামদানি শাড়ির ঐতিহ্য বজায় রেখেও, কটন জামদানি শাড়ি আধুনিক নারীদের জন্য একটি সহজে পরা এবং আরামদায়ক পছন্দ।
✔ এটি খুবই টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী, ফলে এটি বেশিরভাগ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরার উপযুক্ত।
কটন জামদানি শাড়ি ঐতিহ্য, রুচি এবং আধুনিকতার এক চমৎকার সংমিশ্রণ, যা আমাদের সংস্কৃতি এবং ফ্যাশনের পরিচয় বহন করে।
হ্যান্ডপেইন্টেড বা ব্লক প্রিন্ট শাড়ি
হ্যান্ডপেইন্টেড এবং ব্লক প্রিন্ট শাড়ি হল ঐতিহ্যবাহী হাতের কাজের নিদর্শন, যা শাড়ির পৃষ্ঠে হাতে আঁকা বা ব্লক দিয়ে মুদ্রিত ডিজাইন দ্বারা তৈরি হয়। এসব শাড়ি প্রতিটি শেপ, ডিজাইন এবং রঙের ক্ষেত্রে বিশেষ কৌশল ও দক্ষতার প্রমাণ। এটি একদিকে যেমন শিল্প, তেমনি ফ্যাশনও, এবং এই শাড়িগুলো সাধারণত দৃষ্টিনন্দন ও এক্সক্লুসিভ হয়ে থাকে।
-
হাতের কাজের শৈল্পিক নিদর্শন: প্রতি শাড়ির ডিজাইন একেবারে আলাদা, কারণ এটি হাতে আঁকা হয়। ফুল, প্রাকৃতিক দৃশ্য বা ঐতিহ্যবাহী মোটিফ খুবই সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে।
-
প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার: অনেক সময় প্রাকৃতিক রঙ এবং উপাদান ব্যবহার করে শাড়ির ডিজাইন করা হয়, যা আরো পরিবেশবান্ধব।
-
এলিগেন্ট ও নান্দনিক: এই শাড়ি সাধারণত খুবই সূক্ষ্ম এবং এলিগেন্ট, যা বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিধান করা উপযুক্ত।
-
অত্যন্ত ব্যক্তিগত ও এক্সক্লুসিভ: প্রতিটি শাড়ি একেবারে বিশেষ ও অনন্য, কারণ এটি একে অপর থেকে ভিন্ন।
-
হস্তশিল্পের নিদর্শন: ব্লক প্রিন্ট শাড়ি বিশেষ ব্লক বা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কাপড়ে মুদ্রিত ডিজাইন দ্বারা তৈরি হয়, যা সাধারণত ঐতিহ্যবাহী শিল্প।
-
ভিন্নধর্মী ডিজাইন: ব্লক প্রিন্ট শাড়িতে নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী মোটিফ, যেমন ফুল, পশু, জ্যামিতিক ডিজাইন, লতাপাতা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
-
সতর্কতার সাথে তৈরি: ব্লক প্রিন্টের প্রতিটি ডিজাইন বেশ সূক্ষ্মভাবে তৈরি করা হয়, যা দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে।
-
কমফোর্টেবল ও আরামদায়ক: ব্লক প্রিন্ট শাড়িগুলো সাধারণত হালকা কাপড়ে তৈরি হয়, তাই পরিধানে খুবই আরামদায়ক।
-
হ্যান্ডপেইন্টেড শাড়ির দাম সাধারণত ৬,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা হতে পারে, তবে ডিজাইনার বা এক্সক্লুসিভ শাড়ির দাম আরো বেশি হতে পারে।
-
ব্লক প্রিন্ট শাড়ির দাম ২,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, কাপড় ও কাজের জটিলতা অনুযায়ী।
✔ এটি একেবারে স্বতন্ত্র, কারণ প্রতিটি শাড়ি আলাদা এবং অদ্বিতীয়।
✔ ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতিক ভাবনা তুলে ধরে।
✔ পরিবেশবান্ধব উপাদান এবং প্রাকৃতিক রঙের ব্যবহারে এটি অনেকেই পছন্দ করেন।
✔ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরা যায় এবং আপনার লুককে আলাদা ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।
হ্যান্ডপেইন্টেড বা ব্লক প্রিন্ট শাড়ি শুধুমাত্র একটি পোশাক নয়, এটি একটি শিল্প এবং সংস্কৃতির অভিব্যক্তি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url