বাংলাদেশের কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম

কারেন্ট বিল আসলে শুধু বিদ্যুৎ ব্যবহার নয়, বরং আপনার দৈনন্দিন অভ্যাস ও সচেতনতার প্রতিফলন। আপনি যদি নিয়মিত মিটারের রিডিং দেখে থাকেন, বিলের কাঠামো বোঝেন, তাহলে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত বিল নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। 

কারেন্ট-বিল-বের-করার-নিয়ম


আমার আর্টিকেল পড়ে বুঝঝতে পারবেন কারেন্ট বিল কী, কীভাবে কাজ করে, কেন বাড়ে, এবং কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

সূচিপত্র: কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম-২০২৫

কারেন্ট বিল কাগজপত্র

​বিদ্যুৎ বা কারেন্ট বিল সম্পর্কিত কাগজপত্রগুলো শুধু বিল পরিশোধের জন্যই নয়, বরং তা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও আইনি দলিল হিসেবেও কাজ করে। তাই এগুলো সময়মতো সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। 
বিদ্যুৎ বিল বা কারেন্ট বিল কেবল একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার কাগজ নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা আপনার বিদ্যুৎ ব্যবহারের তথ্য, মাসিক খরচ, এবং পরিশোধের রেকর্ড বহন করে। এই বিল বা কাগজপত্রটি বিদ্যুৎ সংস্থা ও গ্রাহকের মধ্যে লেনদেনের একটি প্রমাণ হিসেবেও কাজ করে।
চলুন, জেনে নিই কারেন্ট বিল সংক্রান্ত মূল কাগজপত্রগুলো কী কী এবং সেগুলোর গুরুত্ব।
১. বিদ্যুৎ বিল/ইলেকট্রিসিটি বিল (Electricity Bill)
প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান (যেমন: Palli Bidyut, DPDC, DESCO, NESCO ইত্যাদি) গ্রাহকদের কাছে একটি বিল পাঠায়। এই কাগজে যা যা থাকে:

Customer ID বা গ্রাহক নম্বর

মিটার নম্বর

বর্তমান ও পূর্ববর্তী মিটার রিডিং

ব্যবহৃত ইউনিট সংখ্যা

ইউনিট প্রতি ট্যারিফ

মোট টাকা (ভ্যাট ও সারচার্জসহ)

বিল প্রদান সময়সীমা

বিল মাস (যেমন: মার্চ ২০২৫)

এই বিলটি পোস্টপেইড মিটারের ক্ষেত্রে মিটার রিডারের মাধ্যমে কাগজে দেওয়া হয়, আবার অনেক সময় SMS বা অনলাইনেও পাঠানো হয়।

 ২. পেমেন্ট রসিদ (Payment Receipt)
যখন আপনি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন, তখন একটি পেমেন্ট রসিদ বা প্রাপ্তির কাগজ দেওয়া হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ:

ভবিষ্যতে ভুল বিল আসলে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়

অফিসিয়াল প্রয়োজনে প্রয়োজন হতে পারে (যেমন: ঠিকানার প্রমাণ)

মিটারের সমস্যা হলে সেটি দেখিয়ে সমাধান চাওয়া যায়

বিকাশ, নগদ বা অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে বিল দিলে ই-রসিদ (SMS বা PDF) পাওয়া যায়।

 ৩. সংযোগের অনুমতিপত্র ও আবেদন ফর্ম
প্রথমবার বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যেমন:

জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কপি

জমির কাগজপত্র (দখল বা মালিকানার প্রমাণ)

আবেদনপত্র (ফরম)

ছবিসহ আবেদনকারীর পরিচয়

এই কাগজগুলো সংরক্ষণে রাখলে ভবিষ্যতে সংযোগ পরিবর্তন, ঠিকানা হালনাগাদ, বা মালিকানা পরিবর্তনের সময় কাজে আসে।

 ৪. অভিযোগ বা সংশোধন আবেদন কাগজ
যদি বিল বেশি আসে, মিটারে সমস্যা হয়, বা আপনি পূর্বের বিল সংশোধনের আবেদন করেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট অফিসে অভিযোগপত্র জমা দিতে হয়। এই কাগজেও একটি রেফারেন্স নম্বর থাকে এবং পরবর্তীতে সেটি অনুসরণ করা যায়।

 কাগজপত্র সংরক্ষণের গুরুত্ব
বছরে অন্তত ৬ মাসের বিল সংরক্ষণ করা ভালো

মিটার পরিবর্তন বা গ্রাহক পরিবর্তনের সময় এসব প্রয়োজন হয়

অনলাইন বিল পেমেন্ট হলে স্ক্রিনশট বা PDF রসিদ সংরক্ষণ করা উচিত

কারেন্ট বিল দেখার নিয়ম

কারেন্ট বিল (বিদ্যুৎ বিল) দেখার নিয়ম বর্তমানে অনেক সহজ হয়ে গেছে। আপনি মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে অনলাইনে খুব সহজেই আপনার বিল দেখতে পারেন। 

বর্তমান ডিজিটাল যুগে বিদ্যুৎ বিল বা কারেন্ট বিল দেখা অনেক সহজ ও সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। আগে যেখানে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে বিল নিতে হতো, এখন সেটা ঘরে বসেই মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে অনলাইনে দেখে নেওয়া যায়।

বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা যেমন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (BREB), ডেসকো (DESCO), ডিপিডিসি (DPDC), ও নেসকো (NESCO) বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সহজে বিল দেখার সুযোগ দিয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ (BREB) গ্রাহকদের জন্য

যদি আপনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক হন, তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল দেখতে পারবেন www.reb.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে। সাইটে প্রবেশ করার পর "Consumer Bill" বা "বিল চেক করুন" অপশনটি সিলেক্ট করে আপনার ১১ সংখ্যার Consumer Number (যেটা আপনার পুরানো বিল বা মিটার কার্ডে থাকে) ইনপুট দিন। এরপর ক‍্যাপচা পূরণ করে “Submit” ক্লিক করলেই আপনার বর্তমান ও পূর্ববর্তী বিল দেখতে পারবেন।

ডেসকো (DESCO) গ্রাহকদের জন্য

ডেসকো অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ বিল দেখা আরও সহজ। DESCO এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.desco.org.bd এ গিয়ে “e-Bill” সেকশনে প্রবেশ করুন। তারপর আপনার Customer ID দিয়ে মাস সিলেক্ট করে সার্চ করুন। এখানে আপনি মাস অনুযায়ী বিল, পেমেন্ট স্ট্যাটাস, ডিউ এমাউন্ট ইত্যাদি সব দেখতে পাবেন।

ডিপিডিসি (DPDC) গ্রাহকদের জন্য

DPDC গ্রাহকরা www.dpdc.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে “Bill Info” অথবা “Check Your Bill” অপশনে ক্লিক করে তাদের Customer Number বা Meter Number দিয়ে বিল দেখতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে আপনি বিলের পাশাপাশি আপনার পেমেন্ট হিস্টোরিও দেখতে পারবেন।

মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বিল দেখা

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর প্রত্যেকের নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ আছে। যেমন:

  • BREB Bill Check (পল্লী বিদ্যুৎ)

  • DESCO Mobile App

  • DPDC Bill App

  • NESCO Lite (নেসকো)

এই অ্যাপগুলো Google Play Store বা Apple App Store থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। এরপর অ্যাপে গিয়ে কাস্টমার নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে প্রতিবার অ্যাপে ঢুকে সহজেই আপনার বিদ্যুৎ বিল দেখতে পারবেন।

অনলাইনে বিল দেখার সুবিধা

১. অফিসে যেতে হয় না। ২. ২৪ ঘণ্টা যেকোনো সময় বিল চেক করা যায়। ৩. বিলের হিস্টোরি সংরক্ষণ করা যায়। ৪. মিস হওয়া বা বিল হারিয়ে গেলেও সমস্যা হয় না।

কারেন্ট বিল হিসাব

কারেন্ট বিল বা বিদ্যুৎ বিল হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে (সাধারণত প্রতি মাসে) বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ অনুযায়ী নির্ধারিত টাকা যা গ্রাহককে পরিশোধ করতে হয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
কারেন্ট বিল হিসাব করা খুব জটিল নয়, বরং কিছু মৌলিক তথ্য জানলে আপনি নিজেই আপনার বিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বিল নির্ণয় করতে পারবেন। এতে করে আপনি অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে উৎসাহ পাবেন এবং সাশ্রয়ী জীবনযাপনের দিকেও এগোতে পারবেন। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতনতা যেমন পরিবেশ রক্ষা করে, তেমনি আপনার অর্থনৈতিক সুরক্ষাও নিশ্চিত করে।
কিন্তু অনেকেই সঠিকভাবে জানেন না, এই কারেন্ট বিল কীভাবে হিসাব করা হয়। এই রচনায় আমরা সহজভাবে বুঝে নেব কারেন্ট বিল হিসাব করার পদ্ধতি।

বিদ্যুৎ ব্যবহারের একক: কিলোওয়াট-আওয়ার (kWh)

বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ মাপা হয় কিলোওয়াট-আওয়ার (kWh) এককে। ১ কিলোওয়াট-আওয়ার মানে হলো ১ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি যন্ত্র ১ ঘণ্টা চালানো।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ১ কিলোওয়াট বা ১০০০ ওয়াটের একটি হিটার ৫ ঘণ্টা চালান, তাহলে আপনি ব্যবহার করবেন:

১ কিলোওয়াট × ৫ ঘণ্টা = ৫ ইউনিট (বা ৫ kWh)
কারেন্ট বিল হিসাব করার ধাপসমূহ

১. মিটার রিডিং নির্ধারণ

প্রথমে বিদ্যুৎ মিটারে আগের মাসের ও বর্তমান মাসের রিডিং-এর পার্থক্য বের করতে হয়। ধরুন, আগের মাসে ছিল ৩৫০০ ইউনিট এবং এবার ৩৬০০ ইউনিট। তাহলে ব্যবহার হলো:

৩৬০০ - ৩৫০০ = ১০০ ইউনিট

২. ট্যারিফ রেট (Tariff Rate) প্রয়োগ

সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ রেট অনুযায়ী ইউনিট অনুযায়ী বিভিন্ন রেটে বিল ধার্য করা হয়। যেমন:

  • প্রথম ৭৫ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৪.০২ টাকা

  • পরবর্তী ১২৫ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৫.৪৫ টাকা

  • পরবর্তী ১৫০ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৬.৬৩ টাকা

  • এরপর: প্রতি ইউনিট ১০+ টাকা

আপনার ইউনিট অনুযায়ী একাধিক রেটে ভাগ করে বিল নির্ধারণ হয়, যাকে বলা হয় slab-based billing

৩. বিকল্প চার্জ যোগ করা

মূল ইউনিট বিলের সঙ্গে আরও কিছু চার্জ যোগ করা হয়, যেমন:

  • ডিমান্ড চার্জ (নির্দিষ্ট পরিমাণ, প্রতিটি সংযোগে প্রযোজ্য)

  • মিটার চার্জ

  • ভ্যাট (VAT) – সাধারণত মোট বিলের ওপর ৫% ভ্যাট আরোপ হয়

৪. মোট বিল নির্ধারণ

সবকিছু যোগ করে মোট বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণ করা হয়। কখনো কখনো বিলের সঙ্গে বিলম্ব মাশুল বা পূর্বের বকেয়াও যুক্ত থাকে।

একটি সহজ উদাহরণ

ধরা যাক, আপনি এক মাসে ১২০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন।

  • প্রথম ৭৫ ইউনিট × ৪.০২ = ৩০১.৫০ টাকা

  • পরবর্তী ৪৫ ইউনিট × ৫.৪৫ = ২৪৫.২৫ টাকা

  • মোট ইউনিট বিল = ৫৪৬.৭৫ টাকা

  • মিটার চার্জ = ২০ টাকা

  • ভ্যাট (৫%) = প্রায় ২৮.৩৫ টাকা

  • মোট বিল = ৫৯৫.১০ টাকা (প্রায়)

বাংলাদেশে এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত 

বিদ্যুৎ আমাদের জীবনের অন্যতম অপরিহার্য একটি অনুষঙ্গ। ঘরবাড়ি, অফিস, কলকারখানা—সব কিছুতেই বিদ্যুতের ব্যবহার অপরিহার্য। তবে আমরা অনেকেই জানি না, আমাদের ব্যবহৃত এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত এবং সেটি কীভাবে নির্ধারণ করা হয়।
সরকার প্রতি বছর বিদ্যুৎ খাতের চাহিদা, উৎপাদন খরচ এবং ভর্তুকি বিবেচনায় রেখে নতুন রেট নির্ধারণ করে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হলে আপনি শুধু টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন না, বরং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাতেও অবদান রাখতে পারবেন।
এই রচনায় আমরা জানবো বাংলাদেশে এক ইউনিট বিদ্যুতের বর্তমান দাম ও তার হিসাব-কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

এক ইউনিট বিদ্যুৎ কী?

বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণকে মাপা হয় কিলোওয়াট-আওয়ার (kWh) এককে, যাকে আমরা সাধারণভাবে “এক ইউনিট বিদ্যুৎ” বলে থাকি। অর্থাৎ, ১ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র যদি ১ ঘণ্টা চলে, তাহলে সেটি ১ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।

বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (BPDB) এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (BERC)। এদের নির্ধারিত দামে বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানি (যেমন BREB, DESCO, DPDC, NESCO, WZPDCL) গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

ব্যবসায়িক এবং শিল্প গ্রাহকদের জন্য
ব্যবসায়িক এবং শিল্প শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য ইউনিট রেট একটু বেশি এবং ক্ষেত্রবিশেষে সময়ভেদে (time-of-use) ভিন্ন হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ:

  • মাঝারি শিল্প ইউনিট: প্রায় ৮–১০ টাকা প্রতি ইউনিট
  • বড় শিল্প ইউনিট (HT line): প্রায় ৬–৮ টাকা প্রতি ইউনিট, তবে রাত ও দিনের আলাদা রেট থাকে
প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে দাম

প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীদের জন্যও একই রেট কার্যকর থাকে। তবে বিল প্রিপেমেন্ট পদ্ধতিতে দেওয়ায় কোনো বিলম্ব ফি নেই এবং গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে নিজের ব্যবহার ও ব্যয় সম্পর্কে ধারণা পান।

অতিরিক্ত চার্জ

বিদ্যুৎ ইউনিট মূল্যের সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত চার্জও থাকে, যেমন:

  • মিটার ভাড়া
  • ভ্যাট (৫%)
  • ডিমান্ড চার্জ (কিছু গ্রাহকের জন্য প্রযোজ্য)

এসব মিলিয়ে আপনার মাসিক বিদ্যুৎ বিল তৈরি হয়।

কারেন্ট বিল ইউনিট কত টাকা ২০২৫

২০২৫ সালে বিদ্যুৎ ইউনিটের দাম স্ল্যাব ভিত্তিক নির্ধারণের ফলে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কম ইউনিট ব্যবহারকারীরা কম দামে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন, যা সাশ্রয়ী জীবনের দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে, অধিক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য ইউনিটের দাম বাড়ায় তাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
২০২৫ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিলের হার গ্রাহকের ব্যবহার পরিমাণ এবং শ্রেণি অনুযায়ী বিভিন্ন স্ল্যাবে বিভক্ত। নিচে আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ ইউনিটের দাম বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:
আবাসিক গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ ইউনিট রেট (২০২৫)

আবাসিক গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ বিল স্ল্যাব ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, অর্থাৎ ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ অনুযায়ী প্রতি ইউনিটের দাম পরিবর্তিত হয়:​

০–৫০ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৪.৬৩ টাকা​
৫১–৭৫ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৫.২৬ টাকা​
৭৬–২০০ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৬.৪০ টাকা​
২০১–৩০০ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৭.২০ টাকা​
৩০১–৪০০ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৭.৫৯ টাকা​
৪০১–৬০০ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৯.৩০ টাকা​
৬০০ ইউনিটের বেশি: প্রতি ইউনিট ১০.৭০ টাকা​

উল্লেখ্য, এই হারগুলোর সঙ্গে মিটার চার্জ, ডিমান্ড চার্জ এবং ৫% ভ্যাট যুক্ত হয়ে মোট বিল নির্ধারিত হয়। ​

 বাণিজ্যিক ও শিল্প গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ ইউনিট রেট

বাণিজ্যিক ও শিল্প শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ ইউনিট রেট সাধারণত আবাসিক গ্রাহকদের তুলনায় বেশি:​

বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: প্রতি ইউনিট ১০.৩০ টাকা থেকে শুরু​

অস্থায়ী সংযোগ: প্রতি ইউনিট ১৬ টাকা পর্যন্ত​

শিল্প প্রতিষ্ঠান (পিক আওয়ার): প্রতি ইউনিট ১৫.৬২ টাকা পর্যন্ত​

শিল্প প্রতিষ্ঠান (অফ-পিক আওয়ার): প্রতি ইউনিট ১১.৭১ টাকা পর্যন্ত​

এই হারগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চার্জ ও ভ্যাট যুক্ত হয়ে চূড়ান্ত বিল নির্ধারিত হয়।
 ​
পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জন্য ইউনিট রেট

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ ইউনিট রেট নিম্নরূপ:​

০–৫০ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৩.৯৪ টাকা​
৫১–৭৫ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৪.৪০ টাকা​
৭৬–২০০ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৫.২৬ টাকা​
২০১–৩০০ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৬.৩০ টাকা​
৩০১–৪০০ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৭.২০ টাকা​
৪০১–৬০০ ইউনিট: প্রতি ইউনিট ৯.৩০ টাকা​
৬০০ ইউনিটের বেশি: প্রতি ইউনিট ১০.৭০ টাকা​
এই হারগুলোর সঙ্গে অন্যান্য চার্জ ও ভ্যাট যুক্ত হয়ে মোট বিল নির্ধারিত হয়। ​
বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ও ভর্তুকি
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড়ে ৬.২০ টাকা খরচ হয়। তবে সরকার ভর্তুকি প্রদান করে গ্রাহকদের কাছে এটি কম দামে সরবরাহ করে থাকে।

মিটারে কত টাকা আছে কিভাবে দেখবেন

প্রিপেইড মিটারে কত টাকা আছে, তা জানা এখন আর কঠিন নয়। আপনি মিটারের বোতাম চেপে বা অ্যাপ/এসএমএসের মাধ্যমে সহজেই বর্তমান ব্যালান্স দেখে নিতে পারেন। এটি জানার মাধ্যমে আপনি সময়মতো রিচার্জ করতে পারবেন, অপ্রত্যাশিত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এড়াতে পারবেন এবং আপনার খরচের ওপর সচেতনতা বজায় রাখতে পারবেন। বিদ্যুৎ ব্যবহারে জ্ঞান ও সচেতনতাই সাশ্রয়ের চাবিকাঠি।
বর্তমান বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে অনেক গ্রাহক এখন প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করছেন। এই ব্যবস্থায় গ্রাহকরা আগে টাকা রিচার্জ করে রাখেন এবং ব্যবহার অনুযায়ী মিটার থেকে সেই পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হয়। তাই প্রিপেইড মিটারে ঠিক কত টাকা আছে, সেটা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনি সময়মতো রিচার্জ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বজায় রাখতে পারেন।

 প্রিপেইড মিটার কী

প্রিপেইড মিটার হলো এমন একটি ডিজিটাল বিদ্যুৎ মিটার যেখানে আপনি অগ্রিম টাকা প্রদান করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। এটি অনেকটা মোবাইলের প্রিপেইড সিমের মতো। আপনি টাকা রিচার্জ করলে তা মিটারে জমা হয় এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা কমতে থাকে।

 মিটারে টাকা দেখার পদ্ধতি

প্রিপেইড মিটারে টাকা দেখার জন্য সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বোতাম বা কোড ব্যবহার করতে হয়। নিচে ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলো:

 ১. মিটারের ডিসপ্লে বোঝা

প্রিপেইড মিটার সাধারণত একটি ছোট ডিজিটাল স্ক্রিনের মাধ্যমে তথ্য প্রদর্শন করে। এখানে ইউনিট, টাকা, ভ্যাট, সর্বশেষ রিচার্জ, বোনাস ইত্যাদি দেখানো হয়।

২. মিটারে ব্যালান্স চেক করার ধাপ

প্রিপেইড মিটারের কোম্পানি ও মডেল ভেদে বোতাম বা কোড ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত এই ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়:

  • Step 1: মিটারে থাকা বোতাম ‘07’ চাপুন (কিছু মিটারে এটি ‘Balance’ নামে লেখা থাকে)

  • Step 2: এরপর ‘Enter’ বা ‘#’ চাপুন

  • Step 3: স্ক্রিনে বর্তমান টাকা ব্যালান্স প্রদর্শিত হবে, যেমন: Balance: 235.75

🛈 অনেক মিটারে শুধু ‘07’ চাপলেই ব্যালান্স দেখায়। আবার কিছু মিটারে ‘01’ ইউনিট, ‘02’ রিচার্জ, ‘03’ ভ্যাট ইত্যাদি দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

৩. মোবাইলে মেসেজ বা অ্যাপে ব্যালান্স চেক (যদি থাকে)

কিছু বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা (বিশেষ করে প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর আওতায় যারা প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করে) মোবাইল অ্যাপ বা এসএমএস সেবা দিয়ে থাকে, যেখানে আপনি:

  • অ্যাপে লগইন করে বর্তমান ব্যালান্স দেখতে পারেন

  • এসএমএস পাঠিয়ে রিচার্জ ইতিহাস ও ব্যালান্স জানতে পারেন

উদাহরণ:

SMS: BAL <Meter Number> পাঠাতে হয় নির্দিষ্ট নম্বরে

৪. বিপদ সংকেত বা "Low Balance" বার্তা

যখন আপনার মিটারে টাকা খুব কমে যায়, তখন মিটারের স্ক্রিনে “LOW BALANCE” অথবা “Recharge Soon” ধরনের সতর্কবার্তা দেখা যায় এবং অনেক সময় “বিপবিপ” শব্দে সতর্ক সংকেতও বাজে।

 অতিরিক্ত তথ্য

  • মিটারে সার্ভিস চার্জ, ভ্যাটলাইন রেন্ট কেটে নেওয়া হয় রিচার্জ থেকে

  • কিছু মডেলে emergency balance ফিচার থাকে, যা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা (যেমন ৫০ টাকা) জরুরী অবস্থায় ব্যবহার করার সুযোগ দেয়

কারেন্ট বিল বেশি আসার কারণ

বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। তবে সচেতনতা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এই বিল সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, বিদ্যুৎ সাশ্রয় মানে শুধু টাকা সাশ্রয় নয়—এটা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা রক্ষার দিকেও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।

বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অনেকেই হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিল (কারেন্ট বিল) অতিরিক্ত আসার অভিযোগ করে থাকেন। বিদ্যুৎ ব্যবহার করার সময় যদি সচেতন না হওয়া যায়, তাহলে এটি শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয় না, বরং জ্বালানি অপচয়েরও বড় উৎস হয়ে দাঁড়ায়।

এই রচনায় আলোচনা করা হবে কারেন্ট বিল বেশি আসার সম্ভাব্য কারণগুলো নিয়ে।

 ১. অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার

এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রধান কারণ। অনেক সময় আমরা অজান্তেই ঘরের বাতি, ফ্যান, টিভি কিংবা অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চালু রাখি, যা প্রয়োজন না হলেও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায়। যেমন:

  • দিনের বেলায় আলো জ্বালিয়ে রাখা

  • ব্যবহার শেষে ফ্যান বন্ধ না করা

  • ফ্রিজের দরজা বারবার খোলা

  • অপ্রয়োজনীয় সময়ে গিজার বা ওয়াটার হিটার চালু রাখা

এসব অভ্যাস বিদ্যুতের অপচয় বাড়িয়ে দেয় এবং তার ফলে মাসিক বিলও বেড়ে যায়।

২. পুরানো ও অদক্ষ যন্ত্রপাতি ব্যবহার

পুরনো বা নিম্নমানের যন্ত্রপাতি সাধারণত বিদ্যুৎ বেশি খরচ করে। উদাহরণস্বরূপ:

  • পুরানো রেফ্রিজারেটর বা এসি অনেক সময় দ্বিগুণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে

  • সিলিং ফ্যান বা লাইটে LED-এর পরিবর্তে ইনস্যান্ডেসেন্ট বাল্ব ব্যবহার

  • অটোমেটেড সময় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকা

এইসব কারণে বিদ্যুৎ বিল অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়তে পারে।

৩. মিটারে ত্রুটি বা ভুল রিডিং

অনেক সময় মিটার ত্রুটিপূর্ণ থাকলে সেটি অতিরিক্ত ইউনিট রেকর্ড করে ফেলে। এর ফলে প্রকৃত ব্যবহারের চেয়ে অনেক বেশি ইউনিট দেখা যায় বিলের কাগজে। আবার:

  • মিটার রিডিং না নিয়ে অনুমানভিত্তিক বিল দেওয়া

  • বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার ভুল

এসব বিষয়েও বিল অস্বাভাবিক বেড়ে যেতে পারে।

 ৪. ইউনিট বাড়লে ট্যারিফও বাড়ে (স্ল্যাব রেট)

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিল স্ল্যাব ভিত্তিক। অর্থাৎ আপনি যত বেশি ইউনিট ব্যবহার করবেন, প্রতি ইউনিটের দামও তত বেশি হবে। যেমন:

  • প্রথম ৭৫ ইউনিট ৪.৬৩ টাকা

  • এরপর ২০১–৩০০ ইউনিট ৭.২০ টাকা

  • ৬০০ ইউনিটের বেশি ১০.৭০ টাকা

এ কারণে ইউনিট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার বিলও কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে।

৫. নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন

কখনো কখনো পরিবারে নতুন ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন – এসি, হিটার, ওয়াশিং মেশিন, বা ওভেন যোগ হলে স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে। কিন্তু অনেকে বিল হাতে পাওয়ার আগে সেটা বুঝতে পারেন না।

 ৬. প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে ভুল ব্যালান্স ধারণা

প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীরা অনেক সময় ব্যালান্স ঠিকভাবে চেক না করে ধরে নেন যে তাঁরা কম খরচ করছেন। কিন্তু যদি সার্ভিস চার্জ, লাইন রেন্ট বা ভ্যাট না বোঝা যায়, তাহলে ব্যালান্স দ্রুত শেষ হয় এবং তা বেশি খরচের অনুভূতি দেয়।

 সমাধান ও সচেতনতা

কারেন্ট বিল কমিয়ে আনার জন্য কিছু করণীয়:

  • LED লাইট ব্যবহার

  • অটোমেটিক টাইমার ব্যবহার করা

  • এসি/ফ্রিজ চালানোর সময় দরজা বন্ধ রাখা

  • বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময় সচেতন হওয়া

  • প্রতি মাসে মিটার রিডিং দেখে নিজেই হিসাব রাখা

কারেন্ট বিল বিকাশ করার নিয়ম

বিকাশ এখন শুধু টাকা পাঠানোর মাধ্যম নয়, বরং ডিজিটাল বিল পরিশোধের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম। কারেন্ট বিল বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করা মানে হলো—সময়, শ্রম এবং ঝামেলা বাঁচানো। শুধু কয়েকটি ধাপে আপনি ঘরে বসেই সহজে বিদ্যুৎ বিল মেটাতে পারেন।
বর্তমান যুগে ডিজিটাল লেনদেনের জনপ্রিয়তা ও সহজলভ্যতার কারণে এখন ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সম্ভব। বিকাশ (bKash) এই সেবাটি সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ উপায়ে প্রদান করছে।
বর্তমান যুগে ডিজিটাল লেনদেনের জনপ্রিয়তা ও সহজলভ্যতার কারণে এখন ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা সম্ভব। বিকাশ (bKash) এই সেবাটি সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ উপায়ে প্রদান করছে।

 কারেন্ট বিল কাদের জন্য বিকাশে পরিশোধযোগ্য

বিকাশের মাধ্যমে আপনি নিচের বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার বিল পরিশোধ করতে পারেন:

  • Palli Bidyut (PBS – পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি)

  • DPDC (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি)

  • DESCO (ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি)

  • NESCO (নর্থওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি)

  • BREB, WZPDCL, BPDB এবং আরও অন্যান্য কোম্পানি

বিকাশ অ্যাপে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার ধাপ
 ধাপ ১: বিকাশ অ্যাপ চালু করুন
  • বিকাশ অ্যাপ ওপেন করে লগইন করুন

  • মেনু থেকে “Pay Bill” বা “বিল পরিশোধ” অপশনটি সিলেক্ট করুন

ধাপ ২: সার্ভিস প্রোভাইডার নির্বাচন
  • এখানে বিদ্যুৎ বিভাগ নির্বাচন করুন

  • এরপর আপনার বিদ্যুৎ সংস্থার নাম বেছে নিন (যেমন: Palli Bidyut, DESCO, DPDC ইত্যাদি)

 ধাপ ৩: অ্যাকাউন্ট/মিটার নম্বর প্রদান
  • আপনার বিদ্যুৎ মিটারের Customer ID / Consumer Number / Meter Number সঠিকভাবে দিন

  • Postpaid হলে বিলের মাস নির্বাচন করুন

  • Prepaid হলে শুধু মিটার নম্বর দিলেই চলবে

 ধাপ ৪: বিলের পরিমাণ ও অন্যান্য তথ্য যাচাই
  • সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলের পরিমাণ দেখাবে (যদি পোস্টপেইড হয়)

  • আপনি চাইলে নিজে পরিমাণ বসাতে পারেন (যদি প্রিপেইড হয়)

  • নাম, মাস, টাকার পরিমাণ সব যাচাই করে “Confirm” চাপুন

 ধাপ ৫: পিন দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন করুন
  • বিকাশ একাউন্টের ৪-সংখ্যার পিন দিন

  • লেনদেন সফল হলে কনফার্মেশন মেসেজ এবং রসিদ পাবেন

 বিকাশে বিদ্যুৎ বিল দিতে হলে যা যা লাগবে
  • সক্রিয় বিকাশ একাউন্ট

  • বিকাশ অ্যাপ (হালনাগাদ ভার্সন)

  • ইন্টারনেট সংযোগ

  • সঠিক মিটার নম্বর বা কাস্টমার আইডি

  • অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা

 বিকাশে বিল দেওয়ার সুবিধা
  • ঘরে বসেই ২৪/৭ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ

  • বিল হারানোর ঝুঁকি নেই

  • পেমেন্টের সাথে সাথেই SMS ও রসিদ পাওয়া যায়

  • কোনো দীর্ঘ লাইন বা অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই

  • সহজে ট্রানজেকশন হিস্টোরি দেখা যায়




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url